এবার আমার নোবেল চাই ! ফের বিতর্কের মধ্যমণি ট্রাম্প | The 4th Column

নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পের আবেদন: এক নতুন বিতর্ক
নিউজডেস্ক, দ্যা ফোর্থ কলাম,১৭ আগষ্ট ২০২৫ :-

ডোনাল্ড ট্রাম্প, যিনি নিজেকে ‘নিজের ঢাক নিজে পেটাতে’ ওস্তাদ বলে মনে করেন, এবার সরাসরি নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য আবেদন করে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। ভারত-পাকিস্তান, ইসরায়েল-হামাস, এমনকি রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের মতো বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন যুদ্ধ থামাতে তাঁর ভূমিকা নিয়ে তিনি নিয়মিত নিজের প্রশংসা করে থাকেন। সম্প্রতি, তিনি নরওয়ের এক মন্ত্রীর কাছে সরাসরি এই সম্মান চেয়ে বসেছেন বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
নোবেল পুরস্কারের জন্য সরাসরি আবেদন
নরওয়ের বাণিজ্য সংক্রান্ত দৈনিক ‘ডাগেনস নায়েরিংসলিভ’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত জুলাই মাসে নরওয়ের বাণিজ্যমন্ত্রী জেন্স স্টলটেনবার্গের সঙ্গে ফোনালাপের সময় শুল্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। সেই সময় ট্রাম্প নিজেই বলেন, “আমার এবার নোবেল শান্তি পুরস্কার চাই।” এটিই প্রথমবার, যখন তিনি নিজেকে নোবেল দেওয়ার জন্য সরাসরি প্রস্তাব দিয়েছেন। এর আগেও তিনি একাধিকবার প্রকাশ্য জনসভায় নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতার দাবি করেছেন। তবে, এই তথ্য এসেছে একটি ‘নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক’ সূত্রের মাধ্যমে, এবং এ বিষয়ে এখনও নোবেল কমিটি বা হোয়াইট হাউসের তরফে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
ট্রাম্পের দাবি ও আন্তর্জাতিক সমর্থন
ট্রাম্পের নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিকে সমর্থন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধবিরতি এবং পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, যা বিশ্বে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি আনতে পারে। ট্রাম্প নিজেও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর বৈঠকের পেছনে ভারতের শুল্ক সংক্রান্ত ইস্যুও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এর আগে ইসরায়েল, পাকিস্তান এবং কম্বোডিয়াও ট্রাম্পকে শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছিল। এইবার তিনি সরাসরি নরওয়ের কাছে দাবি করলেন যে তিনি ‘নোবেল পাওয়ার যোগ্য’। নরওয়ের বাণিজ্যমন্ত্রী জেন্স স্টলটেনবার্গ জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে তার কথোপকথন মূলত নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস স্টোরের সঙ্গে শুল্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার প্রস্তুতির জন্য ছিল, এর বাইরে বিস্তারিত কিছু তিনি জানাননি।
ট্রাম্পের এই ধরনের সরাসরি দাবি কতটা প্রভাব ফেলবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে, এই ঘটনা আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে একটি নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
***সংবাদ সূত্র ! দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

You cannot copy content of this page

error: Content is protected !!