নিউজ ডেস্ক, দ্য ফোর্থ কলাম, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ :-
একেই বলে চোরের উপর বাটপাড়ি! সোনার বিস্কুট পাচার করতে গিয়ে, অন্য দলের দুষ্কৃতীদের হাতেই ধরা পড়ল বিস্কুট চুরি করা দুষ্কৃতীরা। এবং শেষমেষ সকলেই ধরা পড়ল পুলিশের হাতে। চুরি করা সোনার বিস্কুট কোন দুষ্কৃতির ভাগ্যেই শেষ পর্যন্ত জুটলো না!
হ্যাঁ, এমনই ঘটনা ঘটেছে উত্তর চব্বিশ পরগনার অশোকনগরে। বুধবার রাত্রে অশোকনগর থানার পুলিশের কাছে খবর এসে পৌঁছায়, অশোকনগরের দোগাছিয়া এলাকায় দুই দলের মধ্যে হাতাহাতি ও খন্ড যুদ্ধ চলছে। এই খবর পেয়েই দ্রুত অশোকনগর থানার পুলিশ দোগাছিয়া অঞ্চলে পৌঁছায় এবং হাতেনাতে ধরে দুই দলের দুষ্কৃতীদের।
জানা গিয়েছে, সোনার বিস্কুট পাচার করতে যাচ্ছিল এক দল দুষ্কৃতী। সেই দুষ্কৃতীদের হাত থেকে সোনার বিস্কুট ছিনতাই করে নেওয়ার জন্যই ওত পেতেছিল আরেকদল দুষ্কৃতী। দোগাছিয়া অঞ্চলে বুধবার রাত্রিবেলায় এই দুই দল দুষ্কৃতীদের মধ্যে হাতাহাতি লেগে যায়।
হঠাৎ করে পুলিশ দেখে দুষ্কৃতীদের মধ্যে কয়েকজন দৌড়ে পালিয়ে গেলেও, পুলিশের কাছে ধরা পড়েন তিনজন দুষ্কৃতী।
ধৃতরা হলেন বনগাঁর গোপালগঞ্জের বাসিন্দা বিভূতি বিশ্বাস, রয়েছেন বাদুড়িয়ার বাসিন্দারা রাজেশ ঠাকুর ও স্বরূপনগরের বাসিন্দা শুভঙ্কর হালদার।
পুলিশ তিনজনকেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে,ধৃত বিভূতি বিশ্বাস দত্তপুকুর স্টেশনে এক ব্যক্তির কাছে সোনার বিস্কুট পাচার করার জন্য রওনা দিয়েছিলেন। ঠিক সেই সময় অন্য আরেক দল দুষ্কৃতী তাকে জোর করে গাড়িতে উঠিয়ে অশোকনগরের দোগাছিয়া অঞ্চলে নিয়ে আসে। এরপরে দুই দলের মধ্যে খন্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। যদিও শেষমেষ বিভূতি সোনার বিস্কুটের ব্যাগটি কোন রকমে নিজের কাছে রাখতে পেরেছিলেন।
পুলিশ ব্যাগ তল্লাশি চালিয়ে আনুমানিক ৬০ লক্ষ টাকার সোনার বিস্কুট উদ্ধার করেছে। এছাড়াও শুভঙ্করের কাছ থেকে কার্তুজ ভর্তি একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও রাজেশের কাছে ছিল একটি ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এই তিনজনকেই আগামী ১০ দিন পুলিশের হেফাজতের নির্দেশ দিয়ে তিনজনকে বারাসাত মহাকুম আদালতে পাঠানো হয়েছে। এই দুষ্কৃতী দলের সাথে অন্যান্য যারা যুক্ত ছিলেন, তাদেরকেও খোঁজার জন্য অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।